লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধু জুলেখা ও তার মেয়ে কলেজছাত্রী তানহা আক্তার মীমকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সোহেল রানা নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ। এর আগেই থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।আটক সোহেল চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর চন্ডিপুর গ্রামের খামার বাড়ির মোজাম্মেল হোসেন বাহারের ছেলে। তিনি নিহতদের আত্মীয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, নিহত জুলেখার স্বামী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সোহেল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রামগঞ্জের উত্তর চন্ডিপুর গ্রামে বাসায় ঢুকে জুলেখা ও তার মেয়ে মীম গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। বাসায় তারা একা ছিল। রাতে নিহতদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাসায় গেলে জুলেখা ও মীমের গলাকাটা মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের মরদেহ দাফন করা হয়। পরে রাতেই মিজানুর বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।